Blogger Widgets
All Stories

Sunday 28 October 2012

  • মোবাইল ব্যাংকিং কী?
মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক সেবা
পৌঁছে যাবে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কাছে। মোবাইল প্রযুক্তি সরঞ্জাম অর্থাৎ মোবাইল ফোনের

মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা (টাকা জমাদান, উত্তোলন, পণ্য বা সেবা ক্রয়ের মূল্য পরিশোধ, বিভিন্ন

ধরণের বিল পরিশোধ, বেতন/ভাতা বিতরণ, বিদেশিক আয়, সরকারি বেতন ও ভাতাদি বিতরণ,

ATM থেকে টাকা উত্তোলন) প্রদান করাই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে

মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রস্তাবিত সেবাসমূহ পাওয়া যাবে।
  • মোবাইল ব্যাংকিং-এর সুবিধাসমূহঃ
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থকে ইলেক্ট্রনিক অর্থে রূপান্তর এবং সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব:
* প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা

* দেশব্যাপী যে কোন সময়, যে কোন স্থানে সেবার নিশ্চয়তা

* এটি সুবিধাজনক, সহজলভ্য এবং নিরাপদ

* টাকা সঞ্চয়ের অভ্যাস বাড়ানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অধিক কার্যকর

* এর মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে টাকা লেনদেন এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে

* মোবাইল ব্যাংকিং অধিকতর নিরাপদ এবং প্রতারণারোধক
  • ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কী কী সেবা পাওয়া যাবে?
গ্রাহক নিবন্ধন
নগদ টাকা জমাদান

নগদ টাকা উত্তোলন

কেনাকাটার বিল পরিশোধ

ইউটিলিটি বিল পরিশোধ

বেতন/ভাতা বিতরণ

বিদেশ হতে প্রেরিত অর্থ বিতরণ

মোবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জ

তহবিল স্থানান্তর
  • কোথায় মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট পয়েন্টে মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে। বর্তমানে
শুধু সিটিসেল এবং বাংলালিংকের মনোনীত এজেন্ট যারা DBBL এর ‘‘এজেন্ট সনদ’’ এবং

DBBL মোবাইল ব্যাংকিং ব্যানার প্রদর্শন করতে পারবে তারাই DBBL এর গ্রাহক রেজিষ্ট্রেশন

করতে পারবেন।
  • কিভাবে মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
গ্রাহক KYC ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও ছবিসহ এজেন্টের কাছে জমা
দিবেন

এজেন্ট গ্রাহকের আবেদনপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিরীক্ষণ করবেন

এজেন্ট তার মোবাইলের নিবন্ধন মেন্যুতে যাবেন এবং গ্রাহকের মোবাইল নম্বর টাইপ করবেন

গ্রাহক IVR হতে একটি কল বা USSD Prompt Menu পাবেন এবং প্রত্যুত্তরে তার

পছন্দমত ৪ সংখ্যার একটি PIN নম্বর দিবেন (অনুগ্রহপূর্বক PIN নম্বরটি মনে রাখবেন)

অতঃপর গ্রাহকের মোবাইল একাউন্টটি চালু হবে, একাউন্ট নম্বরটি হবে গ্রাহকের

মোবাইল নম্বর যার সঙ্গে একটি Check digit যুক্ত হবে

গ্রাহক তার মোবাইল একাউন্ট নম্বর এর নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন (অনুগ্রহপূর্বক

আপনার Check digit টি মনে রাখুন)
  • PIN কেন দরকার ?
এজেন্ট অথবা DBBL ATM থেকে টাকা উত্তোলনের সময় PIN দরকার। PIN আপনার
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রতারণামূলক লেনদেন প্রতিরোধ করবে।
  • PIN কেন গোপনীয় ?
PIN মোবাইল ব্যাংকিং এর লেনদেনের মূল চাবি। শুধু সঠিক PIN এবং মোবাইল নম্বরের সমন্বয়ের
মাধ্যমেই মোবাইল একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব। সিস্টেম কর্তৃক একাউন্টের মালিকের পরিচিতি নিশ্চিত

করার জন্য PIN প্রয়োজন। যেহেতু PIN নম্বরটি অন্য কেউ জানলে সংশি ষ্ট একাউন্টটি ঝুকিপূর্ণ,

সুতরাং PIN অতীব সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
  • Check digit কেন দরকার?
মোবাইল নম্বর অনেকেরই জানা থাকে। তাই Check digit জানা না থাকলে অন্য কেউ
আপনার মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবে না, এভাবেই Check digit আপনার

মোবাইল একাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। অন্যদিকে, Check digit

ভুল একাউন্ট নম্বর প্রদানের সম্ভাবনা দূর করে আপনাকে ভুল একাউন্টে টাকা পাঠানো বা জমাদান

থেকে রক্ষা করবে।

কোন অপারেটরের মোবাইল DBBL এর একাউন্ট হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে?

যে কোন মোবাইল অপারেটরের মোবাইল ব্যবহারকারী বাংলালিংক বা সিটিসেলের মনোনীত

এজেন্ট পয়েন্টে DBBL মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সকল মোবাইল

একাউন্ট গ্রাহকরা এজেন্টের কাছে টাকা জমা দেয়া এবং উত্তোলনের সুবিধা পাবেন। তবে

বাংলালিংক ও সিটিসেল ফোন ব্যবহারকারীগণ ব্যতিত অন্য গ্রাহকগণ কিছু স্ব-পরিচালিত সেবা

যেমন: হিসাব অনুসন্ধান, টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, মোবাইল টপ-আপ, PIN পরিবর্তন

ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাবেন না। বাংলালিংক ও সিটিসেলের গ্রাহকগণ এজেন্ট পরিচালিত এবং

স্ব-পরিচালিত উভয় সেবাই গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

কি ধরনের মোবাইল সেট প্রয়োজন?

যে কোন ধরনের মোবাইল সেট ব্যবহার করেই DBBL মোবাইল একাউন্টের সেবা পাওয়া

যাবে।
  • একাউন্ট খুলতে কত টাকা প্রয়োজন?
মাত্র ১০ (দশ) টাকা জমা দিয়ে একজন গ্রাহক DBBL মোবাইল একাউন্ট খুলতে পারবেন।
একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই কি টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাবে?

একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টাকা জমা দেয়া যাবে। তবে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধিত

হওয়ার পর টাকা তোলা যাবে। ব্যাংক কর্মকর্তা রেজিষ্ট্রেশন ফরমে (KYC) প্রদত্ত তথ্যাবলী

যাচাই করে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন করবেন। সাধারনত একাউন্ট

সম্পূর্ণ নিবন্ধনের জন্য ১-২ কর্মদিবস লাগবে। সম্পূর্ণভাবে রেজিষ্ট্রেশনের পর আপনার মোবাইলে

একটি SMS পাবেন।
  • DBBL মোবাইল ব্যাংকিং কতটুকু নিরাপদ?
DBBL মোবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, কারণ এতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে
USSD অথবা SMS+IVR প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। USSD এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা এবং

PIN, USSD এর মাধ্যমে এবং SMS+IVR এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা, SMS এর মাধ্যমে এবং

PIN IVR কল এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। PIN লেনদেনের ক্ষেত্রে USSD এবং IVR

উভয়ই নিরাপদ।

যেহেতু মোবাইল সেট, PIN এবং Check digit আয়ত্তে নেয়া ছাড়া একাউন্ট থেকে টাকা

উত্তোলন করা যাবে না তাই গ্রাহকের টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া Check digit থাকায় যে

কেউ কারো মোবাইল একাউন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত টাকা জমা করতে পারবে না। (যদিও মোবাইল

নম্বর অনেকেরই জানা)
  • টাকা উত্তোলন করবেন কোথায়?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট (বর্তমানে শুধু সিটিসেল ও বাংলালিংক মনোনীত এজেন্ট),
DBBL ATM ও শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে।

কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন ?

গ্রাহক টাকা উত্তোলনের জন্য এজেন্টকে তার মোবাইল একাউন্ট নং ও টাকার পরিমাণ বলবেন

এজেন্ট তার মোবাইল থেকে উত্তোলন পদ্ধতি শুরু করবেন

এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার

পরিমাণ দিবেন

গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিম্নলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন:

‘‘আপনি আপনার মোবাইল একাউন্ট থেকে xxx টাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছে।

আপনি যদি লেনদেনটি সম্পন্ন করতে চান তাহলে আপনার ৪ সংখ্যার PIN নম্বরটি প্রদান

করুন’’

গ্রাহক PIN নম্বরটি টাইপ করবেন

সিস্টেম, গ্রাহকের একাউন্ট হতে সমপরিমাণ টাকা ডেবিট করবে

এজেন্ট গ্রাহককে টাকা প্রদান করবেন
  • কোথায় টাকা জমা দিবেন ?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট (বর্তমানে শুধু সিটিসেল ও বাংলালিংক মনোনীত এজেন্ট) ও
DBBL শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে ।
  • কিভাবে টাকা জমা দিবেন ?
গ্রাহক এজেন্টের নিকট টাকা জমা দিবেন
এজেন্ট তার মোবাইল থেকে জমাদান পদ্ধতি শুরু করবেন

এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার

পরিমাণ দিবেন

এজেন্ট তার PIN নম্বর দিবেন

সিস্টেম, গ্রাহকের একাউন্টে সমপরিমাণ টাকা ক্রেডিট করবে

এজেন্ট গ্রাহককে টাকা জমাদানের রশিদ দিবেন

সিস্টেম গ্রাহকের মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাঠাবে

নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সঠিক লেনদেন করার জন্য গ্রাহক SMS প্রেরকের নম্বর এবং টাকার

পরিমাণ নিরীক্ষা করবেন। গ্রাহকরা ১৬২১৬ নম্বর হতে SMS পাবেন
  • লেনদেনের সীমা কত?
এজেন্টের কাছে সবসময় পর্যাপ্ত অর্থ নাও থাকতে পারে। আমরা প্রত্যেক এজেন্ট পয়েন্ট থেকে
যত বেশি সম্ভব গ্রাহককে সেবা দিতে চাই। অন্যদিকে, আমাদের যে কোন ধরণের প্রতারণামূলক

ক্ষতি প্রতিরোধ করতে হবে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে লেনদেনের পরিমাণ এবং সংখ্যা

নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে নিন্মোক্ত পরিমাণ এবং সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাহকগণ লেনদেন করতে

পারবেন:

দৈনিক জমা = সর্বোচ্চ ৫ বার

দৈনিক উত্তোলন = সর্বোচ্চ ৫ বার

প্রত্যেক লেনদেনের (জমা/উত্তোলন) পরিমাণ = টাকা ৫০০০/-

প্রতি মাসে জমা = সর্বোচ্চ ২০ বার

প্রতি মাসে উত্তোলন = সর্বোচ্চ ২০ বার
  • কিভাবে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স জানবেন?
গ্রাহক তার মোবাইল থেকে ব্যালেন্স জানার প্রক্রিয়াটি শুরু করবেন
গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিন্মলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন

‘‘একাউন্ট ব্যালেন্স জানতে চাইলে আপনার ৪ সংখ্যার PIN নম্বরটি টাইপ করুন অথবা

Cancel বাটন চেপে অনুরোধটি বাতিল করুন’’

গ্রাহক তার PIN নম্বরটি টাইপ করবেন

DBBL System গ্রাহকের মোবাইলে ব্যালেন্সের পরিমাণ পাঠাবে
  • কিভাবে PIN পরিবর্তন করবেন?
গ্রাহক তার মোবাইল থেকে PIN পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি শুরু করবেন
গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিন্মলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন

‘‘PIN পরিবর্তন করতে চাইলে আপনি আপনার ৪ সংখ্যার বর্তমান PIN টি প্রদান করুন

অথবা Cancel বাটন চেপে অনুরোধটি বাতিল করুন’’

গ্রাহক তার বর্তমান PIN টি প্রদান করবেন

DBBL System একটি নতুন ৪ সংখ্যার PIN চাইবে

গ্রাহক তার নতুন PIN টাইপ করবেন

PIN টি পরিবর্তিত হবে।
  • বেতন/ভাতা বিতরণ কী?
এ পদ্ধতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প সময়ে ঝামেলাবিহীনভাবে তাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের
বেতন এবং সরকার বিভিন্ন ধরনের ভাতা যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি

বিতরণ করতে পারবেন।
  • কিভাবে এটি কাজ করে?
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিস মাসিক বেতন/ভাতা ও মোবাইল একাউন্ট নম্বর সম্বলিত
একটি তালিকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবেন

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিসের একাউন্ট হতে

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট করে সমপরিমাণ টাকা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত একাউন্টে ক্রেডিট

করবে

কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এ লেনদেন সম্পর্কিত একটি

বার্তা পাবেন

কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি যেকোন এজেন্ট অথবা DBBL ATM থেকে টাকা

উত্তোলন করতে পারবেন

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারের সুবিধাসমূহ কী কী?

সময় সাশ্রয়

অর্থ সাশ্রয়

অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই

ভুল হবার সম্ভাবনা খুবই কম

নিশ্চিত তাৎক্ষণিক সেবা

কর্মকর্তা/কর্মচারী ও ভাতা প্রাপ্তদের সুবিধাসমূহ কী কী?

একাউন্টে তাৎক্ষণিক টাকা জমা

ঝামেলাবিহীন বেতন/ভাতা সংগ্রহ

ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই

যেকোন এজেন্ট অথবা DBBL ATM অথবা শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে

কিভাবে মোবাইল একাউন্টে বৈদেশিক রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে?

বিদেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো সুবিধাভোগীর মোবাইল একাউন্টের বিপরীতে রেমিট্যান্স

গ্রহণ করবে।

এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো মোবাইল একাউন্ট নম্বর ও টাকার পরিমাণ সম্বলিত একটি তালিকা

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবে

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেক একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে দেবে

সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এই লেনদেন সম্পর্কিত একটি বার্তা পাবেন

সুবিধাভোগী ব্যক্তি যে কোন এজেন্ট অথবা ATM অথবা DBBL শাখা থেকে টাকা উত্তোলন

করতে পারবেন

ফি এবং সার্ভিস চার্জ

রেজিস্ট্রেশন ফি : ফ্রি

টাকা জমাদান : জমাকৃত টাকার ১% অথবা ৫ টাকা, যেটি অধিকতর

টাকা উত্তোলন : উত্তোলনকৃত টাকার ২% অথবা ১০ টাকা, যেটি অধিকতর

মার্চেন্ট বিল পরিশোধ : গ্রাহকের জন্য ফ্রি

মোবাইল টপ-আপ : গ্রাহকের জন্য ফ্রি

বেতন বিতরণ : ফ্রি

ভাতা বিতরণ : ফ্রি

রেমিট্যান্স প্রদান : ফ্রি

| ব্যাংক এবং ব্যাংকিং দুটো্ই এখন হাতের মুঠোয় | বিশ্বাস না করলে দেখে নিন ।

  • মোবাইল ব্যাংকিং কী?
মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দক্ষতার সঙ্গে আর্থিক সেবা
পৌঁছে যাবে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কাছে। মোবাইল প্রযুক্তি সরঞ্জাম অর্থাৎ মোবাইল ফোনের

মাধ্যমে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা (টাকা জমাদান, উত্তোলন, পণ্য বা সেবা ক্রয়ের মূল্য পরিশোধ, বিভিন্ন

ধরণের বিল পরিশোধ, বেতন/ভাতা বিতরণ, বিদেশিক আয়, সরকারি বেতন ও ভাতাদি বিতরণ,

ATM থেকে টাকা উত্তোলন) প্রদান করাই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে

মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রস্তাবিত সেবাসমূহ পাওয়া যাবে।
  • মোবাইল ব্যাংকিং-এর সুবিধাসমূহঃ
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থকে ইলেক্ট্রনিক অর্থে রূপান্তর এবং সর্বোপরি দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব:
* প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা

* দেশব্যাপী যে কোন সময়, যে কোন স্থানে সেবার নিশ্চয়তা

* এটি সুবিধাজনক, সহজলভ্য এবং নিরাপদ

* টাকা সঞ্চয়ের অভ্যাস বাড়ানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অধিক কার্যকর

* এর মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে টাকা লেনদেন এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে

* মোবাইল ব্যাংকিং অধিকতর নিরাপদ এবং প্রতারণারোধক
  • ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কী কী সেবা পাওয়া যাবে?
গ্রাহক নিবন্ধন
নগদ টাকা জমাদান

নগদ টাকা উত্তোলন

কেনাকাটার বিল পরিশোধ

ইউটিলিটি বিল পরিশোধ

বেতন/ভাতা বিতরণ

বিদেশ হতে প্রেরিত অর্থ বিতরণ

মোবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জ

তহবিল স্থানান্তর
  • কোথায় মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট পয়েন্টে মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে। বর্তমানে
শুধু সিটিসেল এবং বাংলালিংকের মনোনীত এজেন্ট যারা DBBL এর ‘‘এজেন্ট সনদ’’ এবং

DBBL মোবাইল ব্যাংকিং ব্যানার প্রদর্শন করতে পারবে তারাই DBBL এর গ্রাহক রেজিষ্ট্রেশন

করতে পারবেন।
  • কিভাবে মোবাইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন?
গ্রাহক KYC ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ও ছবিসহ এজেন্টের কাছে জমা
দিবেন

এজেন্ট গ্রাহকের আবেদনপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিরীক্ষণ করবেন

এজেন্ট তার মোবাইলের নিবন্ধন মেন্যুতে যাবেন এবং গ্রাহকের মোবাইল নম্বর টাইপ করবেন

গ্রাহক IVR হতে একটি কল বা USSD Prompt Menu পাবেন এবং প্রত্যুত্তরে তার

পছন্দমত ৪ সংখ্যার একটি PIN নম্বর দিবেন (অনুগ্রহপূর্বক PIN নম্বরটি মনে রাখবেন)

অতঃপর গ্রাহকের মোবাইল একাউন্টটি চালু হবে, একাউন্ট নম্বরটি হবে গ্রাহকের

মোবাইল নম্বর যার সঙ্গে একটি Check digit যুক্ত হবে

গ্রাহক তার মোবাইল একাউন্ট নম্বর এর নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন (অনুগ্রহপূর্বক

আপনার Check digit টি মনে রাখুন)
  • PIN কেন দরকার ?
এজেন্ট অথবা DBBL ATM থেকে টাকা উত্তোলনের সময় PIN দরকার। PIN আপনার
আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রতারণামূলক লেনদেন প্রতিরোধ করবে।
  • PIN কেন গোপনীয় ?
PIN মোবাইল ব্যাংকিং এর লেনদেনের মূল চাবি। শুধু সঠিক PIN এবং মোবাইল নম্বরের সমন্বয়ের
মাধ্যমেই মোবাইল একাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব। সিস্টেম কর্তৃক একাউন্টের মালিকের পরিচিতি নিশ্চিত

করার জন্য PIN প্রয়োজন। যেহেতু PIN নম্বরটি অন্য কেউ জানলে সংশি ষ্ট একাউন্টটি ঝুকিপূর্ণ,

সুতরাং PIN অতীব সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
  • Check digit কেন দরকার?
মোবাইল নম্বর অনেকেরই জানা থাকে। তাই Check digit জানা না থাকলে অন্য কেউ
আপনার মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবে না, এভাবেই Check digit আপনার

মোবাইল একাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। অন্যদিকে, Check digit

ভুল একাউন্ট নম্বর প্রদানের সম্ভাবনা দূর করে আপনাকে ভুল একাউন্টে টাকা পাঠানো বা জমাদান

থেকে রক্ষা করবে।

কোন অপারেটরের মোবাইল DBBL এর একাউন্ট হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে?

যে কোন মোবাইল অপারেটরের মোবাইল ব্যবহারকারী বাংলালিংক বা সিটিসেলের মনোনীত

এজেন্ট পয়েন্টে DBBL মোবাইল একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সকল মোবাইল

একাউন্ট গ্রাহকরা এজেন্টের কাছে টাকা জমা দেয়া এবং উত্তোলনের সুবিধা পাবেন। তবে

বাংলালিংক ও সিটিসেল ফোন ব্যবহারকারীগণ ব্যতিত অন্য গ্রাহকগণ কিছু স্ব-পরিচালিত সেবা

যেমন: হিসাব অনুসন্ধান, টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, মোবাইল টপ-আপ, PIN পরিবর্তন

ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাবেন না। বাংলালিংক ও সিটিসেলের গ্রাহকগণ এজেন্ট পরিচালিত এবং

স্ব-পরিচালিত উভয় সেবাই গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

কি ধরনের মোবাইল সেট প্রয়োজন?

যে কোন ধরনের মোবাইল সেট ব্যবহার করেই DBBL মোবাইল একাউন্টের সেবা পাওয়া

যাবে।
  • একাউন্ট খুলতে কত টাকা প্রয়োজন?
মাত্র ১০ (দশ) টাকা জমা দিয়ে একজন গ্রাহক DBBL মোবাইল একাউন্ট খুলতে পারবেন।
একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই কি টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাবে?

একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টাকা জমা দেয়া যাবে। তবে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধিত

হওয়ার পর টাকা তোলা যাবে। ব্যাংক কর্মকর্তা রেজিষ্ট্রেশন ফরমে (KYC) প্রদত্ত তথ্যাবলী

যাচাই করে একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন করবেন। সাধারনত একাউন্ট

সম্পূর্ণ নিবন্ধনের জন্য ১-২ কর্মদিবস লাগবে। সম্পূর্ণভাবে রেজিষ্ট্রেশনের পর আপনার মোবাইলে

একটি SMS পাবেন।
  • DBBL মোবাইল ব্যাংকিং কতটুকু নিরাপদ?
DBBL মোবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ, কারণ এতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে
USSD অথবা SMS+IVR প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। USSD এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা এবং

PIN, USSD এর মাধ্যমে এবং SMS+IVR এর ক্ষেত্রে নির্দেশনা, SMS এর মাধ্যমে এবং

PIN IVR কল এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। PIN লেনদেনের ক্ষেত্রে USSD এবং IVR

উভয়ই নিরাপদ।

যেহেতু মোবাইল সেট, PIN এবং Check digit আয়ত্তে নেয়া ছাড়া একাউন্ট থেকে টাকা

উত্তোলন করা যাবে না তাই গ্রাহকের টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া Check digit থাকায় যে

কেউ কারো মোবাইল একাউন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত টাকা জমা করতে পারবে না। (যদিও মোবাইল

নম্বর অনেকেরই জানা)
  • টাকা উত্তোলন করবেন কোথায়?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট (বর্তমানে শুধু সিটিসেল ও বাংলালিংক মনোনীত এজেন্ট),
DBBL ATM ও শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে।

কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন ?

গ্রাহক টাকা উত্তোলনের জন্য এজেন্টকে তার মোবাইল একাউন্ট নং ও টাকার পরিমাণ বলবেন

এজেন্ট তার মোবাইল থেকে উত্তোলন পদ্ধতি শুরু করবেন

এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার

পরিমাণ দিবেন

গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিম্নলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন:

‘‘আপনি আপনার মোবাইল একাউন্ট থেকে xxx টাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছে।

আপনি যদি লেনদেনটি সম্পন্ন করতে চান তাহলে আপনার ৪ সংখ্যার PIN নম্বরটি প্রদান

করুন’’

গ্রাহক PIN নম্বরটি টাইপ করবেন

সিস্টেম, গ্রাহকের একাউন্ট হতে সমপরিমাণ টাকা ডেবিট করবে

এজেন্ট গ্রাহককে টাকা প্রদান করবেন
  • কোথায় টাকা জমা দিবেন ?
DBBL মনোনীত যে কোন এজেন্ট (বর্তমানে শুধু সিটিসেল ও বাংলালিংক মনোনীত এজেন্ট) ও
DBBL শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে ।
  • কিভাবে টাকা জমা দিবেন ?
গ্রাহক এজেন্টের নিকট টাকা জমা দিবেন
এজেন্ট তার মোবাইল থেকে জমাদান পদ্ধতি শুরু করবেন

এজেন্ট সিস্টেম হতে একটি বার্তা পাবেন এবং ফিরতি বার্তায় গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও টাকার

পরিমাণ দিবেন

এজেন্ট তার PIN নম্বর দিবেন

সিস্টেম, গ্রাহকের একাউন্টে সমপরিমাণ টাকা ক্রেডিট করবে

এজেন্ট গ্রাহককে টাকা জমাদানের রশিদ দিবেন

সিস্টেম গ্রাহকের মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাঠাবে

নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সঠিক লেনদেন করার জন্য গ্রাহক SMS প্রেরকের নম্বর এবং টাকার

পরিমাণ নিরীক্ষা করবেন। গ্রাহকরা ১৬২১৬ নম্বর হতে SMS পাবেন
  • লেনদেনের সীমা কত?
এজেন্টের কাছে সবসময় পর্যাপ্ত অর্থ নাও থাকতে পারে। আমরা প্রত্যেক এজেন্ট পয়েন্ট থেকে
যত বেশি সম্ভব গ্রাহককে সেবা দিতে চাই। অন্যদিকে, আমাদের যে কোন ধরণের প্রতারণামূলক

ক্ষতি প্রতিরোধ করতে হবে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে লেনদেনের পরিমাণ এবং সংখ্যা

নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে নিন্মোক্ত পরিমাণ এবং সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাহকগণ লেনদেন করতে

পারবেন:

দৈনিক জমা = সর্বোচ্চ ৫ বার

দৈনিক উত্তোলন = সর্বোচ্চ ৫ বার

প্রত্যেক লেনদেনের (জমা/উত্তোলন) পরিমাণ = টাকা ৫০০০/-

প্রতি মাসে জমা = সর্বোচ্চ ২০ বার

প্রতি মাসে উত্তোলন = সর্বোচ্চ ২০ বার
  • কিভাবে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স জানবেন?
গ্রাহক তার মোবাইল থেকে ব্যালেন্স জানার প্রক্রিয়াটি শুরু করবেন
গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিন্মলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন

‘‘একাউন্ট ব্যালেন্স জানতে চাইলে আপনার ৪ সংখ্যার PIN নম্বরটি টাইপ করুন অথবা

Cancel বাটন চেপে অনুরোধটি বাতিল করুন’’

গ্রাহক তার PIN নম্বরটি টাইপ করবেন

DBBL System গ্রাহকের মোবাইলে ব্যালেন্সের পরিমাণ পাঠাবে
  • কিভাবে PIN পরিবর্তন করবেন?
গ্রাহক তার মোবাইল থেকে PIN পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি শুরু করবেন
গ্রাহক DBBL সিস্টেম হতে নিন্মলিখিত বার্তা বা IVR কল পাবেন

‘‘PIN পরিবর্তন করতে চাইলে আপনি আপনার ৪ সংখ্যার বর্তমান PIN টি প্রদান করুন

অথবা Cancel বাটন চেপে অনুরোধটি বাতিল করুন’’

গ্রাহক তার বর্তমান PIN টি প্রদান করবেন

DBBL System একটি নতুন ৪ সংখ্যার PIN চাইবে

গ্রাহক তার নতুন PIN টাইপ করবেন

PIN টি পরিবর্তিত হবে।
  • বেতন/ভাতা বিতরণ কী?
এ পদ্ধতিতে বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প সময়ে ঝামেলাবিহীনভাবে তাদের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের
বেতন এবং সরকার বিভিন্ন ধরনের ভাতা যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি

বিতরণ করতে পারবেন।
  • কিভাবে এটি কাজ করে?
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিস মাসিক বেতন/ভাতা ও মোবাইল একাউন্ট নম্বর সম্বলিত
একটি তালিকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবেন

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারি অফিসের একাউন্ট হতে

নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট করে সমপরিমাণ টাকা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত একাউন্টে ক্রেডিট

করবে

কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এ লেনদেন সম্পর্কিত একটি

বার্তা পাবেন

কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তি যেকোন এজেন্ট অথবা DBBL ATM থেকে টাকা

উত্তোলন করতে পারবেন

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/সরকারের সুবিধাসমূহ কী কী?

সময় সাশ্রয়

অর্থ সাশ্রয়

অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই

ভুল হবার সম্ভাবনা খুবই কম

নিশ্চিত তাৎক্ষণিক সেবা

কর্মকর্তা/কর্মচারী ও ভাতা প্রাপ্তদের সুবিধাসমূহ কী কী?

একাউন্টে তাৎক্ষণিক টাকা জমা

ঝামেলাবিহীন বেতন/ভাতা সংগ্রহ

ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই

যেকোন এজেন্ট অথবা DBBL ATM অথবা শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে

কিভাবে মোবাইল একাউন্টে বৈদেশিক রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে?

বিদেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো সুবিধাভোগীর মোবাইল একাউন্টের বিপরীতে রেমিট্যান্স

গ্রহণ করবে।

এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো মোবাইল একাউন্ট নম্বর ও টাকার পরিমাণ সম্বলিত একটি তালিকা

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে পাঠাবে

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেক একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে দেবে

সুবিধাভোগী ব্যক্তি তার নিজ মোবাইলে এই লেনদেন সম্পর্কিত একটি বার্তা পাবেন

সুবিধাভোগী ব্যক্তি যে কোন এজেন্ট অথবা ATM অথবা DBBL শাখা থেকে টাকা উত্তোলন

করতে পারবেন

ফি এবং সার্ভিস চার্জ

রেজিস্ট্রেশন ফি : ফ্রি

টাকা জমাদান : জমাকৃত টাকার ১% অথবা ৫ টাকা, যেটি অধিকতর

টাকা উত্তোলন : উত্তোলনকৃত টাকার ২% অথবা ১০ টাকা, যেটি অধিকতর

মার্চেন্ট বিল পরিশোধ : গ্রাহকের জন্য ফ্রি

মোবাইল টপ-আপ : গ্রাহকের জন্য ফ্রি

বেতন বিতরণ : ফ্রি

ভাতা বিতরণ : ফ্রি

রেমিট্যান্স প্রদান : ফ্রি

Posted at 10:44 |  by Md. Azharul Islam

0 comments:

Monday 22 October 2012

নট ফ্রম ঘানা, বাংলাদেশেরই জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত যিনি নিজে খান বাংলাদেশের খাবার। যিনি মনে করেন, বাংলা সিনেমাকে ইউটার্ন করিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজে। তাঁর হাই বাজেট সিনেমার কারণেই আজকের তরুণ-তরুণীরা সিনেমা হলে যাওয়া শুরু করেছে। তাঁর সিনেমার টিকিট পাওয়াও দুষ্কর। ঈদ উপলক্ষে সেই অ্যাকশন হিরো এবার এসেছেন Rosh+Alo'য়। কথা বলেছেন নানা বিষয়ে। সঙ্গে ছিলেন Simu Naser।

পত্রিকায় দেখেছিলাম, আপনি হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জে। এত কিছু থাকতে হেলিকপ্টার কেন? মানুষকে ভড়কে দিতে না কি?
অনন্ত: হা হা হা। হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যাওয়া এইটা কিন্তু নতুন নয়। মানুষ এক্সসেপশনাল কিছু করতে চায়। আর আমরা যারা হিরো, তারা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো, স্বপ্নের মানুষ। স্বপ্নের মানুষ স্বপ্নের মতোই কাজ-কারবার করবে, এটাই তারা চায়। তাদের সেই ফিলিংসটা দিতেই হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে গিয়েছিলাম।

আপনার কোনটা প্রিয়। গ্রীষ্ম নাকি বর্ষা?
অনন্ত: গ্রীষ্মে গরম আর বর্ষায় বৃষ্টি। দুইটাই ঝামেলার। বাট বর্ষাকে বিয়ের পর এখন বর্ষাকেই বেশি ভালো লাগে।
আপনার গায়ের রং তো অনেক সুন্দর। এত পরিশ্রম করে এটা মেইনটেন করেন কীভাবে? কী কী ব্যবহার করেন?
অনন্ত: যখন অভিনয় করতাম না, তখন ভোর ছয়টায় উঠে সংসদ ভবনে দৌড়াতাম। এখন সাতটায় ঘুম থেকে উঠি। আমার নিজেরই জিম আছে অনেক আগে থেকে। সেখানে জিম করি। সামনের ছবিতে দর্শকেরা আমাকে সিক্স প্যাক হিসেবে দেখতে পাবে। এ জন্য খাওয়া-দাওয়াও কন্ট্রোল করছি। সকালে চারটা ডিম খাই। কুসুম ফেলে দিয়ে শুধু সাদা অংশটা। তারপর হালকা গরম লেবুপানিতে অল্প মধু দিয়ে খাই। দুপুরে ভেজিটেবল স্যুপ আর সালাদ। আর রাতে ফলের রস, কখনো কখনো চিকেন গ্রিল খাই।

টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আপনার ‘আর ইউ ফ্রম গানা?’ তো এখন লোকের মুখে মুখে। এই বিষয়ে কিছু বলবেন?
অনন্ত: আমি একজন এডুকেটেড লোক। আন-এডুকেটেড নই। আসলে আমরা অনেক কিছু না বুঝেই মজা করি। মজা করতে সমস্যা নেই। কিন্তু একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো, ওই দেশটার উচ্চারণ কিন্তু আসলে গানাই। এমনকি ঘানার লোকেরাও তাদের উচ্চারণে তাদের দেশটাকে ‘গানা’ বলেই ডাকে।

তা হলে ‘ম্যানসিসটার’?
অনন্ত: আমি ঠিকই উচ্চারণ করেছি। হয়তোবা শুনতে ওই রকম শোনা গেছে। কারও যদি লিসেনিং পাওয়ার কম থাকে, তা হলে অনেক ভুল শুনতে পারে। একই কথা আপনি সামনাসামনি একরকম শুনবেন, ফোনে আরেক রকম শুনবেন, সিনেমায় আরেক রকম শুনবেন, টেলিভিশনে আরেক রকম। আমি অশিক্ষিত নই যে এসব উচ্চারণ আমি জানব না। আর একটা কথা কী, ১০০টা লোকের মধ্যে পাঁচজন একটু উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। আমি জোর গলায় বলছি, রিয়েলি আই ডোন্ট বদার।

আপনি যদি আপনার কোনো ছবি দেশের বাইরে মুক্তি দেন, তবে প্রথমেই কোন দেশে মুক্তি দেবেন? ঘানা, ভারত, নাকি আমেরিকা?
অনন্ত: আমার ছবি তো বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেই। বিদেশে বাঙালিরা সেসব ছবি দেখে অনেক প্রশংসা করেছে।

আপনার ছবির লোকেশন তো অনেক সুন্দর। এ পর্যন্ত কোন কোন দেশে শুটিং করেছেন?
অনন্ত: এ পর্যন্ত থাইল্যান্ড, ভারত, ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটি, মালয়েশিয়া ও আমেরিকায় শুটিং করেছি।

পরবর্তী ছবির জন্য ঘানায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
অনন্ত: না, সে রকম কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। পরবর্তী ছবির জন্য সুইজারল্যান্ড যাচ্ছি। সেখানে অনেক সুন্দর লোকেশন আছে। আমাদের ছবি দেখে যাতে সবাই বলতে পারে, বিদেশ মানেই আমরা শুধু পাতায়া বিচে যাই না।

আপনি নিজে কখনো কি ঘানায় গিয়েছেন?
অনন্ত: না, এখনো যাইনি।

তা হলে এত দেশ থাকতে আপনি ঘানার নাম কেন বললেন? বিশেষ কোনো দুর্বলতা আছে এই দেশ নিয়ে?
অনন্ত: আসলে হয়েছে কী, সেদিন যে ছেলেটা রেস্টুরেন্টে বলেছিল, ‘দেখ দেখ বাংলা সিনেমার নায়ক’ সেই ছেলেটা ছিল শুকনা আর গায়ের রং কালো। দেখে মনে হচ্ছিল, সে আফ্রিকার কেউ। সে জন্যই আসলে ঘানার কথা মাথায় এসেছিল। পরে আমি তাকে বলেছিলাম, স্টিল ইউ আর চাইল্ড। তোমার ভবিষ্যৎ কী তুমি জান না। কিন্তু আমি জানি, আমি কী। আর না, আমার ব্যক্তিগত কোনো দুর্বলতা নেই ঘানা নিয়ে।

আপনার ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে অনেকে মজা করছে ফেসবুক, ব্লগে। আপনার উচ্চারণ...
অনন্ত: মজা করতে সমস্যা নেই। তবে একটা কথা কী, এই দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই উচ্চারণে সমস্যা আছে। এটাকে আসলে সমস্যাও বলব না। যেমন হুমায়ূন আহমেদ, উনার উচ্চারণে পুরোটাই ময়মনসিংহের টান ছিল, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান উনারও একই ব্যাপার ছিল। তাই বলে তো উনারা ছোট হয়ে যাননি। মজা করলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না। বেশির ভাগ সময়ই মানুষ যাকে ভালোবাসে, তাকে নিয়েই মজা করে। আমার বাংলাতে একটু সমস্যা আছে, আমি স্বীকার করি। কিন্তু আমি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছি, আমি যে বিজনেস করি সেখানে সারা দিন ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। আমি জানি, কোনটা কী উচ্চারণ করতে হয়। আমি অশিক্ষিত নই।

চারদিকে আপনার এখন অনেক ভক্ত। তাদের বেশির ভাগই কোন ধরনের? ইংলিশ মিডিয়াম?
অনন্ত: ভক্তের তো কোনো অভাব নেই। যেখানেই যাই খালি ভক্ত। বাংলাদেশে এমন কোনো এডুকেটেড ফ্যামিলি পাওয়া যাবে না, যেখানে আমার ভক্ত নেই। সেদিন সোনারগাঁও হোটেলে গেছি। একজন বিদেশি এসেও আমার সঙ্গে পরিচিত হলো, ছবি তুলল। তরুণ-তরুণীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যেখানেই যাচ্ছি। ওয়েবসাইটে আমাদের ছবির রিভিউ করছে ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা।

কেন তারা আপনার ভক্ত বলে মনে হয়? কী কারণে? তারা আপনার কী পছন্দ করে বলে মনে হয়? অভিনয়, অ্যাকশন নাকি কথা?
অনন্ত: আপনার ভেতর কোয়ালিটি থাকলে সবাই আপনার ভক্ত হবে। আর একেকজন একেকটার জন্য ভক্ত। কেউ আমার চেহারা দেখে, কেউ অভিনয় দেখে, কেউ অ্যাকশন দেখে। সেদিন শুনলাম একজন বলছে, আমাকে নাকি বাইরের হিরোদের মতো লাগে।

প্রচলিত আছে আমাদের সিনেমার দর্শক যারা, তারা পর্দায় স্লিম ফিগারের নায়িকা দেখতে চায় না। কিন্তু আপনার সিনেমায় দেখা যায় স্লিম ফিগারের নায়িকাদের। এটা কী ভেবে করলেন?
অনন্ত: আসলে সারা পৃথিবীতেই কোথাও বাল্কি মেয়েকে নায়িকা হিসেবে দর্শকেরা পছন্দ করে না। কিন্তু আমাদের দেশের দর্শক যারা ছিল, তারা হয়তোবা সেটা পছন্দ করত। কিন্তু আমার টার্গেট ইয়াংরা। যারা এডুকেটেড তাদের জন্য আমি ছবি বানাই। তারা টিভির পর্দায় হিন্দি ছবি দেখে অভ্যস্ত। সেসব ছবিতে স্লিম ফিগারের মেয়েরাই নায়িকা হয়। তারা নাচলেও তাই ভালো লাগে। সেই ভালো লাগাটাই আমাদের সিনেমায় দিতে চাই আমি।

আপনার নিজের বাড়ি কোথায়? সেখানকার লোকজন কি আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করে? কী বলে তারা?

অনন্ত: আমার বাড়ি ঢাকাতেই, তবে যদি দাদার বাড়ি বলেন তবে মুন্সিগঞ্জ। সেখানকার লোকেরা অনেক আগে থেকেই, মানে আমি সিনেমার হিরো হওয়ার আগে থেকেই আমাকে, আমার পরিবারকে নিয়ে গর্ব করে। আমরা বড় বিজনেসম্যান, এলাকায় আমাদের পরিবারের অনেক সমাজসেবামূলক কাজ আছে, সেগুলো নিয়ে সবাই গর্ব করে। বরং আমি নায়ক হওয়ার পর তারা একটু চিন্তিত যে এতে আমার ব্যবসার না ক্ষতি হয়ে যায়।

সিনেমায় আপনার ঠোঁট অনেক লাল দেখা যায়। লিপস্টিক ব্যবহার করেন না কি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে?
অনন্ত: না, আমি কখনো ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করি না অভিনয়ের সময়। এফডিসিতে এক মেকআপম্যান একবার লিপস্টিক দিয়েছিল, তাকে বের করে দিয়েছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকেই সিগারেট খাই না, তাই আমার ঠোঁট এমনিতেই গোলাপি।


আপনি বলেছেন শাকিব খান আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী নন। কাকে তা হলে আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন?
অনন্ত: অবশ্যই শাকিব আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সে আমার প্রত্যেকটি ছবি হলে গিয়ে দেখে। সে আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববে এ কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। দেশে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যদি প্রতিদ্বন্দ্বীর কথা বলতে হয়, তবে হলিউডের টম ক্রুজই হলো আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী।

অভিনয়ের প্রতি আপনার এই তৃষ্ণা কোথা থেকে এল?
অনন্ত: বিদেশে যখন থাকতাম, তখন উইকএন্ডে হলে গিয়ে ইংরেজি আর হিন্দি সিনেমা দেখতাম। তখন মনে হতো, আহা যদি বাংলা সিনেমাও এখানে চলত। সেই থেকেই ভাবতাম, দেশে এসে সিনেমা বানাব ইন্টারন্যাশনাল মানের।

বাংলা সিনেমাকে আপনি কোথায় দেখতে চান? অস্কারে কি আপনার ছবি নিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
অনন্ত: আপাতত আমি বাংলা সিনেমাকে ভালো মানের হিন্দি সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিয়ে যেতে চাই। ইন্ডিয়ার মতো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাই। আর অস্কার নিয়ে যেটা বললেন সেটা হলো দিবাস্বপ্ন, এখন বাংলা সিনেমার এই অবস্থায় অস্কারের স্বপ্ন হলো ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আমি এখন দেখতে চাই না।

আপনি এক রেস্টুরেন্টে এক ছেলেকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইউ মিন বাংলা ছবির হিরো আন-এডুকেটেড? আপনার পড়াশোনা নিয়ে যদি একটু বলতেন—
অনন্ত: আমি ও লেভেল আর এ লেভেল করেছি ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টারে যাই, সেখানে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ি।

অবসর সময়ে কোথায় আড্ডা দেন?
অনন্ত: মরা ছাড়া তো অবসর নেই। অফিস-বাসা-শুটিং এই হলো আমার অবসর। তবে বর্ষাকে নিয়ে সোনারগাঁও, র্যা ডিসন, কেএফসি এসব বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টে মাঝেমধ্যেই যাওয়া পড়ে।

বর্ষার সঙ্গে সংসার কেমন চলছে? বর্ষার কোন জিনিসটা খুব ভালো?
অনন্ত: সিনেমা করার আগে থেকেই কিন্তু বর্ষার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। অনেকে ভাবে, আমি হিরো হওয়ার পর। আসলে কিন্তু তা নয়। তখন থেকেই প্রেম, পরে বিয়ে। আমরা দুজন খুব ভালো আছি। আর বর্ষার একটা জিনিস খুব ভালো, সেটা হলো সে আরগুমেন্ট কম করে। কথা শোনে। তার কথা হলো, এত বড় একজন লোকের সঙ্গে আছি, এটা ভাগ্যের ব্যাপার।

আপনার ভক্ত-দর্শক, রস+আলোর পাঠকদের উদ্দেশে কি কিছু বলতে চান?
অনন্ত: আপনারা যেখান থেকেই আসেন না কেন, মানে আপনি গানা থেকে আসেন, আপনার মা রাশিয়া থেকে আসুক, যাই হোক না কেন, ইউ আর ইটিং ফুড ফ্রম বাংলাদেশ। আসুন সবাই মিলে মজা করি, মজা করে বাংলা সিনেমা করি। আমার একটাই প্রমিজ—আমি নিরাশ করব না আপনাদের। ভালো ভালো ছবি উপহার দেব আপনাদের।

| মোস্ট ওয়েলকাম ছবির নায়ক অনন্ত-এর একটি একান্ত সাক্ষাতকার | না পড়লে চরম মিস করবেন ।

নট ফ্রম ঘানা, বাংলাদেশেরই জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত যিনি নিজে খান বাংলাদেশের খাবার। যিনি মনে করেন, বাংলা সিনেমাকে ইউটার্ন করিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজে। তাঁর হাই বাজেট সিনেমার কারণেই আজকের তরুণ-তরুণীরা সিনেমা হলে যাওয়া শুরু করেছে। তাঁর সিনেমার টিকিট পাওয়াও দুষ্কর। ঈদ উপলক্ষে সেই অ্যাকশন হিরো এবার এসেছেন Rosh+Alo'য়। কথা বলেছেন নানা বিষয়ে। সঙ্গে ছিলেন Simu Naser।

পত্রিকায় দেখেছিলাম, আপনি হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জে। এত কিছু থাকতে হেলিকপ্টার কেন? মানুষকে ভড়কে দিতে না কি?
অনন্ত: হা হা হা। হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যাওয়া এইটা কিন্তু নতুন নয়। মানুষ এক্সসেপশনাল কিছু করতে চায়। আর আমরা যারা হিরো, তারা অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো, স্বপ্নের মানুষ। স্বপ্নের মানুষ স্বপ্নের মতোই কাজ-কারবার করবে, এটাই তারা চায়। তাদের সেই ফিলিংসটা দিতেই হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে গিয়েছিলাম।

আপনার কোনটা প্রিয়। গ্রীষ্ম নাকি বর্ষা?
অনন্ত: গ্রীষ্মে গরম আর বর্ষায় বৃষ্টি। দুইটাই ঝামেলার। বাট বর্ষাকে বিয়ের পর এখন বর্ষাকেই বেশি ভালো লাগে।
আপনার গায়ের রং তো অনেক সুন্দর। এত পরিশ্রম করে এটা মেইনটেন করেন কীভাবে? কী কী ব্যবহার করেন?
অনন্ত: যখন অভিনয় করতাম না, তখন ভোর ছয়টায় উঠে সংসদ ভবনে দৌড়াতাম। এখন সাতটায় ঘুম থেকে উঠি। আমার নিজেরই জিম আছে অনেক আগে থেকে। সেখানে জিম করি। সামনের ছবিতে দর্শকেরা আমাকে সিক্স প্যাক হিসেবে দেখতে পাবে। এ জন্য খাওয়া-দাওয়াও কন্ট্রোল করছি। সকালে চারটা ডিম খাই। কুসুম ফেলে দিয়ে শুধু সাদা অংশটা। তারপর হালকা গরম লেবুপানিতে অল্প মধু দিয়ে খাই। দুপুরে ভেজিটেবল স্যুপ আর সালাদ। আর রাতে ফলের রস, কখনো কখনো চিকেন গ্রিল খাই।

টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আপনার ‘আর ইউ ফ্রম গানা?’ তো এখন লোকের মুখে মুখে। এই বিষয়ে কিছু বলবেন?
অনন্ত: আমি একজন এডুকেটেড লোক। আন-এডুকেটেড নই। আসলে আমরা অনেক কিছু না বুঝেই মজা করি। মজা করতে সমস্যা নেই। কিন্তু একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো, ওই দেশটার উচ্চারণ কিন্তু আসলে গানাই। এমনকি ঘানার লোকেরাও তাদের উচ্চারণে তাদের দেশটাকে ‘গানা’ বলেই ডাকে।

তা হলে ‘ম্যানসিসটার’?
অনন্ত: আমি ঠিকই উচ্চারণ করেছি। হয়তোবা শুনতে ওই রকম শোনা গেছে। কারও যদি লিসেনিং পাওয়ার কম থাকে, তা হলে অনেক ভুল শুনতে পারে। একই কথা আপনি সামনাসামনি একরকম শুনবেন, ফোনে আরেক রকম শুনবেন, সিনেমায় আরেক রকম শুনবেন, টেলিভিশনে আরেক রকম। আমি অশিক্ষিত নই যে এসব উচ্চারণ আমি জানব না। আর একটা কথা কী, ১০০টা লোকের মধ্যে পাঁচজন একটু উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। আমি জোর গলায় বলছি, রিয়েলি আই ডোন্ট বদার।

আপনি যদি আপনার কোনো ছবি দেশের বাইরে মুক্তি দেন, তবে প্রথমেই কোন দেশে মুক্তি দেবেন? ঘানা, ভারত, নাকি আমেরিকা?
অনন্ত: আমার ছবি তো বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেই। বিদেশে বাঙালিরা সেসব ছবি দেখে অনেক প্রশংসা করেছে।

আপনার ছবির লোকেশন তো অনেক সুন্দর। এ পর্যন্ত কোন কোন দেশে শুটিং করেছেন?
অনন্ত: এ পর্যন্ত থাইল্যান্ড, ভারত, ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটি, মালয়েশিয়া ও আমেরিকায় শুটিং করেছি।

পরবর্তী ছবির জন্য ঘানায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
অনন্ত: না, সে রকম কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। পরবর্তী ছবির জন্য সুইজারল্যান্ড যাচ্ছি। সেখানে অনেক সুন্দর লোকেশন আছে। আমাদের ছবি দেখে যাতে সবাই বলতে পারে, বিদেশ মানেই আমরা শুধু পাতায়া বিচে যাই না।

আপনি নিজে কখনো কি ঘানায় গিয়েছেন?
অনন্ত: না, এখনো যাইনি।

তা হলে এত দেশ থাকতে আপনি ঘানার নাম কেন বললেন? বিশেষ কোনো দুর্বলতা আছে এই দেশ নিয়ে?
অনন্ত: আসলে হয়েছে কী, সেদিন যে ছেলেটা রেস্টুরেন্টে বলেছিল, ‘দেখ দেখ বাংলা সিনেমার নায়ক’ সেই ছেলেটা ছিল শুকনা আর গায়ের রং কালো। দেখে মনে হচ্ছিল, সে আফ্রিকার কেউ। সে জন্যই আসলে ঘানার কথা মাথায় এসেছিল। পরে আমি তাকে বলেছিলাম, স্টিল ইউ আর চাইল্ড। তোমার ভবিষ্যৎ কী তুমি জান না। কিন্তু আমি জানি, আমি কী। আর না, আমার ব্যক্তিগত কোনো দুর্বলতা নেই ঘানা নিয়ে।

আপনার ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে অনেকে মজা করছে ফেসবুক, ব্লগে। আপনার উচ্চারণ...
অনন্ত: মজা করতে সমস্যা নেই। তবে একটা কথা কী, এই দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই উচ্চারণে সমস্যা আছে। এটাকে আসলে সমস্যাও বলব না। যেমন হুমায়ূন আহমেদ, উনার উচ্চারণে পুরোটাই ময়মনসিংহের টান ছিল, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান উনারও একই ব্যাপার ছিল। তাই বলে তো উনারা ছোট হয়ে যাননি। মজা করলেই কেউ ছোট হয়ে যায় না। বেশির ভাগ সময়ই মানুষ যাকে ভালোবাসে, তাকে নিয়েই মজা করে। আমার বাংলাতে একটু সমস্যা আছে, আমি স্বীকার করি। কিন্তু আমি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করেছি, আমি যে বিজনেস করি সেখানে সারা দিন ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। আমি জানি, কোনটা কী উচ্চারণ করতে হয়। আমি অশিক্ষিত নই।

চারদিকে আপনার এখন অনেক ভক্ত। তাদের বেশির ভাগই কোন ধরনের? ইংলিশ মিডিয়াম?
অনন্ত: ভক্তের তো কোনো অভাব নেই। যেখানেই যাই খালি ভক্ত। বাংলাদেশে এমন কোনো এডুকেটেড ফ্যামিলি পাওয়া যাবে না, যেখানে আমার ভক্ত নেই। সেদিন সোনারগাঁও হোটেলে গেছি। একজন বিদেশি এসেও আমার সঙ্গে পরিচিত হলো, ছবি তুলল। তরুণ-তরুণীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যেখানেই যাচ্ছি। ওয়েবসাইটে আমাদের ছবির রিভিউ করছে ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা।

কেন তারা আপনার ভক্ত বলে মনে হয়? কী কারণে? তারা আপনার কী পছন্দ করে বলে মনে হয়? অভিনয়, অ্যাকশন নাকি কথা?
অনন্ত: আপনার ভেতর কোয়ালিটি থাকলে সবাই আপনার ভক্ত হবে। আর একেকজন একেকটার জন্য ভক্ত। কেউ আমার চেহারা দেখে, কেউ অভিনয় দেখে, কেউ অ্যাকশন দেখে। সেদিন শুনলাম একজন বলছে, আমাকে নাকি বাইরের হিরোদের মতো লাগে।

প্রচলিত আছে আমাদের সিনেমার দর্শক যারা, তারা পর্দায় স্লিম ফিগারের নায়িকা দেখতে চায় না। কিন্তু আপনার সিনেমায় দেখা যায় স্লিম ফিগারের নায়িকাদের। এটা কী ভেবে করলেন?
অনন্ত: আসলে সারা পৃথিবীতেই কোথাও বাল্কি মেয়েকে নায়িকা হিসেবে দর্শকেরা পছন্দ করে না। কিন্তু আমাদের দেশের দর্শক যারা ছিল, তারা হয়তোবা সেটা পছন্দ করত। কিন্তু আমার টার্গেট ইয়াংরা। যারা এডুকেটেড তাদের জন্য আমি ছবি বানাই। তারা টিভির পর্দায় হিন্দি ছবি দেখে অভ্যস্ত। সেসব ছবিতে স্লিম ফিগারের মেয়েরাই নায়িকা হয়। তারা নাচলেও তাই ভালো লাগে। সেই ভালো লাগাটাই আমাদের সিনেমায় দিতে চাই আমি।

আপনার নিজের বাড়ি কোথায়? সেখানকার লোকজন কি আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করে? কী বলে তারা?

অনন্ত: আমার বাড়ি ঢাকাতেই, তবে যদি দাদার বাড়ি বলেন তবে মুন্সিগঞ্জ। সেখানকার লোকেরা অনেক আগে থেকেই, মানে আমি সিনেমার হিরো হওয়ার আগে থেকেই আমাকে, আমার পরিবারকে নিয়ে গর্ব করে। আমরা বড় বিজনেসম্যান, এলাকায় আমাদের পরিবারের অনেক সমাজসেবামূলক কাজ আছে, সেগুলো নিয়ে সবাই গর্ব করে। বরং আমি নায়ক হওয়ার পর তারা একটু চিন্তিত যে এতে আমার ব্যবসার না ক্ষতি হয়ে যায়।

সিনেমায় আপনার ঠোঁট অনেক লাল দেখা যায়। লিপস্টিক ব্যবহার করেন না কি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে?
অনন্ত: না, আমি কখনো ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করি না অভিনয়ের সময়। এফডিসিতে এক মেকআপম্যান একবার লিপস্টিক দিয়েছিল, তাকে বের করে দিয়েছিলাম। আমি ছোটবেলা থেকেই সিগারেট খাই না, তাই আমার ঠোঁট এমনিতেই গোলাপি।


আপনি বলেছেন শাকিব খান আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী নন। কাকে তা হলে আপনি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন?
অনন্ত: অবশ্যই শাকিব আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। সে আমার প্রত্যেকটি ছবি হলে গিয়ে দেখে। সে আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববে এ কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। দেশে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যদি প্রতিদ্বন্দ্বীর কথা বলতে হয়, তবে হলিউডের টম ক্রুজই হলো আমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী।

অভিনয়ের প্রতি আপনার এই তৃষ্ণা কোথা থেকে এল?
অনন্ত: বিদেশে যখন থাকতাম, তখন উইকএন্ডে হলে গিয়ে ইংরেজি আর হিন্দি সিনেমা দেখতাম। তখন মনে হতো, আহা যদি বাংলা সিনেমাও এখানে চলত। সেই থেকেই ভাবতাম, দেশে এসে সিনেমা বানাব ইন্টারন্যাশনাল মানের।

বাংলা সিনেমাকে আপনি কোথায় দেখতে চান? অস্কারে কি আপনার ছবি নিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?
অনন্ত: আপাতত আমি বাংলা সিনেমাকে ভালো মানের হিন্দি সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিয়ে যেতে চাই। ইন্ডিয়ার মতো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাই। আর অস্কার নিয়ে যেটা বললেন সেটা হলো দিবাস্বপ্ন, এখন বাংলা সিনেমার এই অবস্থায় অস্কারের স্বপ্ন হলো ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আমি এখন দেখতে চাই না।

আপনি এক রেস্টুরেন্টে এক ছেলেকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইউ মিন বাংলা ছবির হিরো আন-এডুকেটেড? আপনার পড়াশোনা নিয়ে যদি একটু বলতেন—
অনন্ত: আমি ও লেভেল আর এ লেভেল করেছি ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টারে যাই, সেখানে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ি।

অবসর সময়ে কোথায় আড্ডা দেন?
অনন্ত: মরা ছাড়া তো অবসর নেই। অফিস-বাসা-শুটিং এই হলো আমার অবসর। তবে বর্ষাকে নিয়ে সোনারগাঁও, র্যা ডিসন, কেএফসি এসব বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টে মাঝেমধ্যেই যাওয়া পড়ে।

বর্ষার সঙ্গে সংসার কেমন চলছে? বর্ষার কোন জিনিসটা খুব ভালো?
অনন্ত: সিনেমা করার আগে থেকেই কিন্তু বর্ষার সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। অনেকে ভাবে, আমি হিরো হওয়ার পর। আসলে কিন্তু তা নয়। তখন থেকেই প্রেম, পরে বিয়ে। আমরা দুজন খুব ভালো আছি। আর বর্ষার একটা জিনিস খুব ভালো, সেটা হলো সে আরগুমেন্ট কম করে। কথা শোনে। তার কথা হলো, এত বড় একজন লোকের সঙ্গে আছি, এটা ভাগ্যের ব্যাপার।

আপনার ভক্ত-দর্শক, রস+আলোর পাঠকদের উদ্দেশে কি কিছু বলতে চান?
অনন্ত: আপনারা যেখান থেকেই আসেন না কেন, মানে আপনি গানা থেকে আসেন, আপনার মা রাশিয়া থেকে আসুক, যাই হোক না কেন, ইউ আর ইটিং ফুড ফ্রম বাংলাদেশ। আসুন সবাই মিলে মজা করি, মজা করে বাংলা সিনেমা করি। আমার একটাই প্রমিজ—আমি নিরাশ করব না আপনাদের। ভালো ভালো ছবি উপহার দেব আপনাদের।

Posted at 02:19 |  by Md. Azharul Islam

0 comments:

Do small businesses even ask themselves this question? I don’t think they do and I reached this conclusion from the responses I get when meeting small business owners on a weekly basis. Even in today’s society many small businesses and one man
ban
ds have a remarkably low understanding of the importance of the internet and digital marketing. So today I am going to go over some key points as to why your business needs a website, how digital marketing can drive traffic and sales, and finally the basics of how we do it.
So you are a small business and provide plumbing services in Rugby, this is great as our head office is also in Rugby so if I ever need a plumber I shall give you a call. This is a prime example of how getting new business previously worked; new business from referrals of your contacts is good and is still obviously used today. However more and more people are using the internet to find the service they are looking for through search engines such as Google, Bing and Yahoo. The majority of these searchers are Googlers, who form on average 81.8% of searchers in total.
Around 300 million people use Google every day to which Google displays website results from searches performed. If you are a small plumber in Rugby and you don’t have a website then you are missing the boat by a long way right from the start. It is here where you need to make your first vital steps to entering the digital world and GET A WEBSITE. Make sure it is well designed and structured to produce quality leads and enquiries, I happen to know of a good company so I shall give you their website address later.
So now you have your fantastic new website built by Creare and you are going to tell everyone about it. You have it printed onto your business card, good start but what if I have never met you before? Ahhh problem so I will use Google to find you and the fantastic plumbing service you provide. I do this and I cannot find your company because there are other plumbers in Rugby that have had a website for longer and Google likes this so puts them onto the first page of Google.
So here comes the question, How do I get to the top of Google?

You need to carry out digital marketing and here at Creare we can do that for you. Included in this service is a key form of marketing which is SEO also known as search engine optimisation. We will discuss your business needs with you and then produce a bespoke campaign to fit your business. This is now where the magic happens and Boom your business is Page 1 Position 1 in Google for Plumbers in Rugby and Central Heating Rugby and Emergency Plumber Rugby. We then call you to tell you the go







 

How do I get my website to the top of Google?

Do small businesses even ask themselves this question? I don’t think they do and I reached this conclusion from the responses I get when meeting small business owners on a weekly basis. Even in today’s society many small businesses and one man
ban
ds have a remarkably low understanding of the importance of the internet and digital marketing. So today I am going to go over some key points as to why your business needs a website, how digital marketing can drive traffic and sales, and finally the basics of how we do it.
So you are a small business and provide plumbing services in Rugby, this is great as our head office is also in Rugby so if I ever need a plumber I shall give you a call. This is a prime example of how getting new business previously worked; new business from referrals of your contacts is good and is still obviously used today. However more and more people are using the internet to find the service they are looking for through search engines such as Google, Bing and Yahoo. The majority of these searchers are Googlers, who form on average 81.8% of searchers in total.
Around 300 million people use Google every day to which Google displays website results from searches performed. If you are a small plumber in Rugby and you don’t have a website then you are missing the boat by a long way right from the start. It is here where you need to make your first vital steps to entering the digital world and GET A WEBSITE. Make sure it is well designed and structured to produce quality leads and enquiries, I happen to know of a good company so I shall give you their website address later.
So now you have your fantastic new website built by Creare and you are going to tell everyone about it. You have it printed onto your business card, good start but what if I have never met you before? Ahhh problem so I will use Google to find you and the fantastic plumbing service you provide. I do this and I cannot find your company because there are other plumbers in Rugby that have had a website for longer and Google likes this so puts them onto the first page of Google.
So here comes the question, How do I get to the top of Google?

You need to carry out digital marketing and here at Creare we can do that for you. Included in this service is a key form of marketing which is SEO also known as search engine optimisation. We will discuss your business needs with you and then produce a bespoke campaign to fit your business. This is now where the magic happens and Boom your business is Page 1 Position 1 in Google for Plumbers in Rugby and Central Heating Rugby and Emergency Plumber Rugby. We then call you to tell you the go







 

Posted at 01:17 |  by Md. Azharul Islam

0 comments:

Text Widget

Full Training Provided. Part time data entry jobs with bi-weekly payments! Make $40 to $80/day with legit data entry jobs. Bi-weekly Payments? Earn up to $1.50/- per data entry form. Make $25 to $50/- a Day working full/part time data entry operators. There are already 2,40,000 people around the world grabbed this opportunity and making tons of money every month. No Investment. Bi-weekly Payments. Pls visit : http://www.onlinejobsopen.com/?id=936857

Blogger templates. Proudly Powered by Blogger.
back to top